সিনেমা এমন এক জগৎ, যেখানে নায়কের পাশাপাশি খলনায়কদের ভূমিকাও কিছু কম নয়। ভাল মন্দের বৈপরীত্য না থাকলে সাহিত্য বা চলচ্চিত্র কোনকিছুই পূর্নতা পায়না। আজ যে শিল্পীর কথা নিয়ে স্মৃতির পাতা ওল্টাতে বসেছি, তিনি কিন্তু জীবন শুরু করেছিলেন নায়ক হিসেবেই। এমনই তার অভিনয় প্রতিভা, বহুমুখীতা,মুন্সিয়ানা যে নিজের ইমেজকে নিজের হাতেই ভাঙতে গড়তে তিনি ছিলেন সক্ষম। শিরোনামটি তাই অবশ্যই ইতিবাচক।
চল্লিশের দশক জুড়ে তখন বলিউডে রাজত্ব করছে কপূর ডাইনেসটি,দীলিপ কুমার, দেব আনন্দের মত মহান তারকাগন। এই তারাদের পাশাপাশি নিজের এক আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন এই সুদর্শন অভিনেতা। পুরো নাম প্রেমনাথ মলহোত্রা। যদিও পোশাকি নাম প্রেমনাথ বা প্রেম। জন্ম ২১ শে নভেম্বর ১৯২৬ সালে পাকিস্তানের পেশোয়ারের ঘন্টাঘর এলাকায়। ভারত বিভাজনের পর তাঁর পরিবার চলে আসে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে। বাবা ছিলেন দুর্দান্ত আর্মি অফিসার। তিনি ছেলেকেও চেয়েছিলেন আর্মি হিসেবেই দেখতে। কিন্তু প্রেমের বরাবরই ভীষন ইচ্ছা ছিল অভিনেতা হিসেবে বলিউড শাসন করার। পৃথ্বী থিয়েটারস এর মালিক পৃথ্বীরাজ কপূরের প্রচন্ড ভক্ত ছিলেন তিনি। তাঁকে চিঠিতে বারবার লিখতেন যে তিনি যেন প্রেমকে নিজের চেলা বানিয়ে নেন। তাকে যেন নাটকে অভিনয় করবার সুযোগ দেন।
মুম্বইতে আসার পর প্রেম প্রথম সুযোগ পান "অজিত"(১৯৪৮) ছবিতে। নায়িকা মনিকা দেশাই। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, আবেদনময় চেহারার প্রেম খুব তাড়াতাড়ি একটা ছাপ ফেলে দেন ইন্ডাস্ট্রিতে। এরপরই ডাক পেলেন পৃথ্বীরাজ কপূরের থেকে। তখন তরুন পরিচালক রাজ কপূর বানাচ্ছিলেন প্রথম ছবি "আগ"। নার্গিসের বিপরীতে প্রেমনাথকে সেখানে সুযোগ পান সহ অভিনেতা হিসেবে। তাঁর এই চরিত্রটি ছিল দোষে গুনে মেলানো। চরিত্রএর কোথাও নিজেকে মহান সাজানোর প্রবনতা নেই। পরিশীলিত শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব এবং চমৎকার সংলাপ বলার দক্ষতা খুব সহজেই তার মহিলা ভক্তদের সংখ্যা বহুগুন বাড়িয়ে দেয়।
আর কে ফিল্মস এর "বরসাত"(১৯৪৯) ছবিতে "গোপাল" চরিত্রটি তাঁর কেরিয়ারে এক টার্নিং পয়েন্ট। সেই ছবিতে নায়িকা নিম্মির বিরহ বেদনাকে উপেক্ষা করে একাধিক নারীর সাথে প্রনয়ে মেতে ওঠা এবং নাইটক্লাব কিং বা প্লেবয় এর চরিত্রে তাঁর অপ্রতিরোধ্য অভিনয় অবাক এবং মুগ্ধ করার মত। হাঁটাচলা, পোশাক, চরিত্র নির্বাচন সবেতেই তিনি ছিলেন সময়ের থেকে এগিয়ে। ১৯৫২ সালে ভারতের প্রথম টেকনিকালার ছবি "আন" এ মেহবুব খান তাঁকে অত্যাচারী রাজা হিসেবে উপস্থাপন করেন। রাজ কপূরের সাথে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তার। একবার জব্বলপুরে রাজ প্রেমনাথের সাথে গেলে রাজের পছন্দ হয় প্রেমনাথের বোন কৃষ্ণাকে। কিছুদিনের মধ্যেই আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। সেইদিক দিয়ে তিনি রনধীর,ঋষী এবং রাজীব কপূরের মামা। দুই ভাই রাজেন্দ্রনাথ এবং নরেন্দ্রনাথ ষাটের দশকের অসংখ্য ছবিতে হাস্যরসাত্মক ছবিতে অভিনয় করেছেন।
সেইসময় রাজপুত্র বা রাজার চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে প্রেমনাথের ছিল জুড়ি মেলা ভার। অভিনেত্রী মধুবালার সাথে "বাদল"(১৯৫১), "সগাই" ছবিতে রেহানা "আবে হায়াত"(১৯৫৫) ছবিতে অমিতা, "নজওয়ান"(১৯৫১) ছবিতে নলীনি জয়ন্তের সাথে তার কেমিস্ট্রি দর্শকের মনে দাগ কেটে যায়। মধুবালার সাথে তিনি প্রেম সম্পর্কেও আবদ্ধ হয়ে পড়েন বলে শোনা যায়। কিন্তু আর এক সুন্দরী অভিনেত্রী বীনা রায় তার জীবনে আসার পর তিনি মধুবালার সাথে কাজ করতে আপত্তি জানান। তাঁর উল্লেখ্য কিছু ছবি হল-"হিন্দুস্তান হামারা"(১৯৫০), "সাকি"(১৯৫২), "আওয়ারা"(১৯৫১),"চেঙ্গিস খান"(১৯৫৭), "সমুন্দর"(১৯৫৭), "রুস্তম শোহরাব"(১৯৬৩), "প্যায়ার মহব্বত"(১৯৬৬), "বাস কন্ডাকটর "(১৯৫৯) ইত্যাদি।
১৯৫৩ সালে "অউরাদ" ছবিতে সহ অভিনেত্রী
বীনা রায়কে তার ভাল লাগতে শুরু করে। শোনা যায়, আকর্ষনীয় প্রেমনাথের ব্যক্তিত্বে আগে থেকেউ মুগ্ধ ছিলেন বীনা রায়। কিন্তু প্রেমের প্রস্তাব পাওয়া মাত্রই কাঁপতে শুরু করেছিল বীনার হাত। খুব তাড়াতাড়ি দুজনেই বিবাহ সম্বন্ধে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর নিজের প্রোডাকশন হাউস পি এন ফিল্মস খোলেন তিনি। কিন্তু স্বামী স্ত্রী অনেক আশা নিয়ে ছবিগুলি তৈরী করলেও "সমুন্দর", "শগুফা", "প্রিজনারস অব গোলকন্ডা" আর "ওয়তন" বক্স অফিসে সাফল্য পেলনা। অন্যদিকে স্ত্রী বীনা রায়ের কেরিয়ার গ্রাফ ক্রমশ উপরে উঠলেও প্রেমনাথ নায়ক থেকে সরে যেতে থাকেন ক্রমশ সহনায়কের চরিত্রে। বাড়িতে কোনো আমন্ত্রন পত্র এলে খামের উপর লেখা থাকত মিঃ এন্ড মিসেস রয়। একদিকে মেল ইগো অন্যদিকে অভিনয় জগতে অসাফল্য সব মিলিয়ে হতাশাগ্রস্ত প্রেমনাথ সিদ্ধান্ত নেন অভিনয় জগত থেকে সাময়িক বিরতির। এই সময়টাতে তিনি অসংখ্য তীর্থস্থান ভ্রমন করেন। শরনাপন্ন হন ধর্মগ্রন্থ এবং আধ্যাত্মিকতার। নিজের ভাগ্যের উপর এবং অভিনয় দক্ষতার প্রতি তাঁর ছিল অসম্ভব আস্থা। ১৯৭২ সালে ফিরে এসে তিনি সাইন করেন দেব আনন্দের ছবি "জনি মেরা নাম" এ এক ভয়াবহ খলনায়কের চরিত্রে। আবার তাঁর ক্যারিশমা মুগ্ধ করল দর্শকদের। তাঁর "শোর"(১৯৭২), "ববি"(১৯৭৩), "আমির গরিব"(১৯৭৩) এবং "রোটি কপড়া অর মকান"(১৯৭৪) ফিল্মফেয়ারের জন্য মনোনীত হয়।
বীনা রায়কে তার ভাল লাগতে শুরু করে। শোনা যায়, আকর্ষনীয় প্রেমনাথের ব্যক্তিত্বে আগে থেকেউ মুগ্ধ ছিলেন বীনা রায়। কিন্তু প্রেমের প্রস্তাব পাওয়া মাত্রই কাঁপতে শুরু করেছিল বীনার হাত। খুব তাড়াতাড়ি দুজনেই বিবাহ সম্বন্ধে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর নিজের প্রোডাকশন হাউস পি এন ফিল্মস খোলেন তিনি। কিন্তু স্বামী স্ত্রী অনেক আশা নিয়ে ছবিগুলি তৈরী করলেও "সমুন্দর", "শগুফা", "প্রিজনারস অব গোলকন্ডা" আর "ওয়তন" বক্স অফিসে সাফল্য পেলনা। অন্যদিকে স্ত্রী বীনা রায়ের কেরিয়ার গ্রাফ ক্রমশ উপরে উঠলেও প্রেমনাথ নায়ক থেকে সরে যেতে থাকেন ক্রমশ সহনায়কের চরিত্রে। বাড়িতে কোনো আমন্ত্রন পত্র এলে খামের উপর লেখা থাকত মিঃ এন্ড মিসেস রয়। একদিকে মেল ইগো অন্যদিকে অভিনয় জগতে অসাফল্য সব মিলিয়ে হতাশাগ্রস্ত প্রেমনাথ সিদ্ধান্ত নেন অভিনয় জগত থেকে সাময়িক বিরতির। এই সময়টাতে তিনি অসংখ্য তীর্থস্থান ভ্রমন করেন। শরনাপন্ন হন ধর্মগ্রন্থ এবং আধ্যাত্মিকতার। নিজের ভাগ্যের উপর এবং অভিনয় দক্ষতার প্রতি তাঁর ছিল অসম্ভব আস্থা। ১৯৭২ সালে ফিরে এসে তিনি সাইন করেন দেব আনন্দের ছবি "জনি মেরা নাম" এ এক ভয়াবহ খলনায়কের চরিত্রে। আবার তাঁর ক্যারিশমা মুগ্ধ করল দর্শকদের। তাঁর "শোর"(১৯৭২), "ববি"(১৯৭৩), "আমির গরিব"(১৯৭৩) এবং "রোটি কপড়া অর মকান"(১৯৭৪) ফিল্মফেয়ারের জন্য মনোনীত হয়।
রাজ কপূরের "ববি" তে গোয়ানিজ মৎস্যব্যবসায়ী
এর চরিত্রে তিনি অনন্য। এই চরিত্রে নিজেকে সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি মৎস্যজীবীদের এলাকায় গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন তাদের জীবনযাত্রা এবং কথাবার্তার সাথে পরিচিত হবার জন্য। এই নায়ক খলনায়কে রূপান্তরিত হয়েও দর্শকদের ভালবাসা পেয়ে গেছেন সমানভাবে। সিনেমা ছাড়াও ১৯৬৭ সালে আমেরিকান টেলিভিশন সিরিজ "মায়া" তে তিনি অভিনয় করেন। ১৯৬৯ সালে আমেরিকান ছবি "Kenner" এ মার্কিন অভিনেতা ফুটবলার জিম ব্রাউনের সাথেও পর্দায় তিনি অভিনয় করেন। ১৯৭৭ সালে পঞ্জাবি ছবি "সৎ শ্রী অকল" এও তিনি অভিনয় করেন। করেছেন ছবি বেশ কয়েকটি ছবি পরিচালনাও। ১৯৮৫ সালে "হাম দোনো" ছবিতে তিনি শেষবারের মত কাজ করেন।
এর চরিত্রে তিনি অনন্য। এই চরিত্রে নিজেকে সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি মৎস্যজীবীদের এলাকায় গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন তাদের জীবনযাত্রা এবং কথাবার্তার সাথে পরিচিত হবার জন্য। এই নায়ক খলনায়কে রূপান্তরিত হয়েও দর্শকদের ভালবাসা পেয়ে গেছেন সমানভাবে। সিনেমা ছাড়াও ১৯৬৭ সালে আমেরিকান টেলিভিশন সিরিজ "মায়া" তে তিনি অভিনয় করেন। ১৯৬৯ সালে আমেরিকান ছবি "Kenner" এ মার্কিন অভিনেতা ফুটবলার জিম ব্রাউনের সাথেও পর্দায় তিনি অভিনয় করেন। ১৯৭৭ সালে পঞ্জাবি ছবি "সৎ শ্রী অকল" এও তিনি অভিনয় করেন। করেছেন ছবি বেশ কয়েকটি ছবি পরিচালনাও। ১৯৮৫ সালে "হাম দোনো" ছবিতে তিনি শেষবারের মত কাজ করেন।
ব্যার্থ হয়েও কিভাবে আবার কামব্যাক করতে হয়, উঠে দাঁড়াতে হয়, তারকাদের মাঝে থেকেও কিভাবে নিজের আলোয় বর্নময় করতে হয় আকাশ, তা শেখা যায় এই সপ্রতিভ নায়ক তথা খলনায়কের কাছ থেকে। সাহসী দৃশ্য, হাঁটাচলা, ফিটনেস সবেতেই প্রেমনাথ আধুনিকতার জ্বলন্ত এক নিদর্শন। দীর্ঘদিন অভিনয় জীবন থেকে বিরতির পর ১৯৯২ সালের ২রা নভেম্বর হার্ট অ্যাটাকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই নায়ক। দুই ছেলে প্রেম কিষন এবং কৈলাসনাথ হিন্দী ছবিতে সাইড রোলে অভিনয় করেছেন। মৃত্যুর প্রায় ২৭ বছর পরও এখনো অমলিন এই চিরপ্রেমিক নায়ক তথা খলনায়কের অনবদ্য স্ক্রিন প্রেজেন্স।
A neon sign
ReplyDeleteYou can find hollow glass tubes in 4 ft, 5 ft and 8 ft lengths to make neon lamps. The tubes are shaped by heating the glass with forced air or lit gas. Depending on the country and the supplier, different glass compositions are used. There are three types of soft glass: soda-lime or lead glass. The borosilicate glass family also has "Hard" glasses. The working temperature of glass varies depending on the composition. The temperature at which the propane gas is used to ignite the air-gas flame varies depending on its fuel. It can reach 3000°F.
More info
Display case lighting with LED light strips
ReplyDeleteWhile display cases are important in commercial settings, they can also be found in residential and industrial settings. Display cases are usually made from glass, but you can also get them made of wood or a mixture of metal and wood. LED light strips can be used to illuminate display cases so that items are highlighted.
LED lights are gaining popularity due to their cost efficiency and effectiveness in lighting your space or projects. They are lightweight and portable, as well as flexible and easy to set up. More people shop online for LED strip lighting than ever before. Everyone is looking for LED lighting ideas.
LED strips are by far the most popular of all LED lighting products. You can use it as a couch light, truck lighting, or for room decoration.
More info