ads

চাকরিতে প্রবেশে ৩০ থেকে ৩৫ বছর করার কিছু যুক্তি তুলে ধরা হলো


(১) সাংবিধানিক যুক্তিঃ- সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে ১১ নং অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সমূহের ৩ নং অংশে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র । সাংবিধানিক ধারা ২৯ (১) অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগের সমতা থাকিবে। যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকবে। মানবতার মর্যাদা ও মূল্যেবোধের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবে । এই ভাগের ১৯ নং অনুচ্ছেদে আরো বলা হয়েছে- ১ (ক) সকল নাগরিকের জন্যে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবে । ১ (খ) প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সমান সুযোগ সুবিধা দান নিশ্চিত করিবার জন্যে রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন । (২) গড় বয়স অনুযায়ী চাকরির বয়সঃ- বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হলেও এখন শিক্ষার হার অনেকগুনে বেড়েছে । জাতীয় আয় বেড়ে ১৭৫২ মার্কিন ডলারে উন্নিত হয়েছে । গড় আয়ু বেড়ে ৭২ বছর হয়েছে । সেই হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের বয়স হওয়ার কথা ৪৩ বছর । (৩) শিক্ষা ব্যবস্থা বিবেচনা করলে চাকরির বয়স বাড়ানো যুক্তিযুক্তঃ- বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন যে, অনার্স ও মাস্টার্স এবং ডিগ্রি অর্জন করতে গেলে শিক্ষার্থীর বয়স ২৭ - ২৮ বছরে চলে যায় । বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা বিবেচনা করা হলেও যারা তাদের সার্টিফিকেট অর্জনে শ্রম, সময় সব কিছুর ব্যয় করেছেন । তারা কি তাহলে আবেদনের সুযোগ পাবে না? নাকি বয়সের ফ্রেমে বেঁধে দিয়ে নতুনদের আগমনের জন্যে তাদের অযোগ্য বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চলবে? এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের তো কোন দোষ নেই । তবে এর জবাব কে দিতে পারবেন? চলে আসা শিক্ষা ব্যবস্থা ও মন্ত্রী পরিষদ দিবেন? নাকি সরকার প্রধান দিবেন? (৪) বিশ্বের অন্যান্য স্বাধীন দেশ সমূহে চাকরির বয়সঃ- বিশ্বের ১৯৫ টি স্বাধীন দেশের মধ্যে ১৬২ টি দেশেই চাকরির আবেদনের বয়স সর্বনিম্ম ৩৫ থেকে ৫৯ বছর । বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে কেন শিক্ষার্থীদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হবে? মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি পারেনা এ বিষয়ে যুক্তি প্রদান করতে? পারেন না সমগ্র বিশ্বে উন্নয়ন ও অধিকারের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের জনগনের অধিকার রক্ষার্থে মতামত প্রকাশ করতে ! (৫) অবসরের সময়সীমার সাথে চাকরির আবেদনের বয়স সীমার বৈষম্যঃ- অবসরের বয়স বৃদ্ধিতে ৫ বছর পিছিয়ে পড়েছি আমরা । কারণ এ দেশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা থেকে শুরু করে সম্পন্ন করতে ২ থেকে ৪ বছর সময় লেগে যায় । যা সবার যোগ্যতা থাকা সত্বেও চাকরি পায়না অনেক শিক্ষার্থী । সংবিধানের কর্মবিভাগ অনুযায়ী ১৩৪ নং ধারায় কর্মমেয়াদ অনুযায়ী এই সংবিধানের দ্বারা অন্যরকম বিধান না করা হইয়া থাকিয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি রাষ্ট্রপতির সন্তোষ্টানুযাযী সময়সীমা পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন । এ তথ্যানুযাযী কি তাহলে রাষ্ট্রপতি ও সরকার চাকরিতে অবসর এর বয়স বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করেন? যদি তাই হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে সরকারের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয় বিবেচনা না করে, শুধু এ ধারায় চললে দেশে গণতন্ত্রের কোন বহিঃ প্রকাশ আমরা খোঁজে পাবোনা । চাকরীর আবেদনের বিষয়টি যদি অবসরের বিষয়ের সাথে বিবেচনা না করা হয়, তাহলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ছাত্র সমাজ? (৬) রাজনৈতিক অবস্থার অবনতিতে বাঁধা ছাত্র সমাজঃ- যারা ছাত্র রাজনীতি করে তাদের অবস্থা এমন যে, সবাই সফল হওয়া সম্ভব হয় না। ছাত্র রাজনীতির বয়সসীমা ২৪ বছর । তাহলে যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন ২৮-২৯ বছর। তাহলে এ সময়কার যে খরচ হয়। তা কেন দিবেন না সরকার? বিভিন্ন দেশীয় ও বৈদেশিক সংস্থা কর্তৃক যেমন বিবেচনায় পড়ে জাতিসংঘ কর্তৃক শিক্ষা ক্ষেত্রে অনুদান দেয় । ফলে ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট বাঁড়ানো হয়েছে । তাহলে সেই সাথে যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি সরকার কেন তা প্রমাণের সময় সুযোগ দিবেন না? (৭) পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে দেখা যায় আবেদনের বয়স বাঁড়ানো উচিতঃ- সাধারণ জনগণ চায় বাংলাদেশে চাকরিতে প্রবশের বযস বাঁড়ানো হউক । কারণ শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির ফলে প্রত্যেক পরিবারেরই শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে । তাছাড়া আমাদের সমাজে অধিকাংশ শিক্ষার্থী হচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবারের । যাদের অনেকেই টিউশনীসহ বিভিন্ন কাজ করে পড়ালেখা সম্পন্ন করে । যা সময় সাপেক্ষের একটি বিষয় । শিক্ষিত করার পেছনে পরিবার বর্গের অনেক খরচ ও সময় তাদের দিতে হয় । এছাড়া শিক্ষার্থীদের অনেকেই আদেন যারা এমন নয় যে কোন সচ্চল পরিবারের । পড়ার খরচ চালানো ও নিজেদের জ্ঞান অর্ঝনের জন্য প্রতিযোগিতায় নামতে অনার্স মাস্টার্স নামক সার্টিফিকেট অর্জনের পাশাপাশি টিউশনী ও ছোট খাট চাকরি করতে হয় । তাহলে তাদের এই সাধনা কেন বয়সের ফ্রেমে বেঁধে দেওয়া হয় । কেন আরেক সময় সুযোগ দেওয়া হবে না যোগ্যতা প্রমাণের ওরা তো এদেশেরই সন্তান । (৮) জাতীয় যুবনীতি ও উন্নয়নশীল দেশঃ- জাতীয় যুবনীতি অনুযায়ী বয়সসীমা ২৮ থেকে ৩৫। তাছাড়া বাংলাদেশ এমন উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছেন । তাহলে শিক্ষার্থীরা কেন তাদের চাকরীতে আবেদনের এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে । জাতীয় উন্নয়নে যেখানে তাদের অবদান সবচেয়ে বেশি । (৯) উন্নত বিশ্বের ধারণাঃ- উন্নত দেশ সমূহের সাথে তাল মিলাতে মেধা ও যোগ্যতাকে বয়সের দ্বারা নির্ধারণ করা অযোক্তিক । বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে সন্তানদের বোধ ও মেধার অবমূল্যায়ন রোধ করতে চাকরিতে প্রবেশে আবেদনের বয়স বৃদ্ধির প্রয়োজন । না হয় পরবর্তী প্রজন্ম মেধা পাচারের উদাসিনতা পরিলক্ষিত হবে । (১০) মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ প্রকল্পঃ- একজন চাকরি পাবেন কি পাবেন না, সেটা নিয়োগ পরক্ষিায় নির্ধারিত হবে । কিন্তু সবাই আবেদন করার অধিকার রাখে । যেখানে বর্তমান সময়ে চাকরির আবেদনের বয়স হওয়া উচিত ৪২ থেকে ৪৩ বছর । সেখানে কেন চাকরির বয়সসীমা ৩৫ এ উন্নতি করা সম্ভব হবে না ? যদি তা উপেক্ষা করা হয় । তাহলে তা মানবাধিকার লক্ষণ ছাড়া কিছুই নয় । এসব বিষয় বিভিন্ন মন্ত্রী পরিষদের এবং দূর্নীতি দমন কমিশনের আওতায়
Kumrun Nahar
Share on Google Plus

About Vesuvius

Thanks you very much for read my POST. What you want, What you like, Which page is you like so much, Please tell me, I am waiting for your sweet response. Thanks Again.

0 comments:

Post a Comment

Thanks you Visit Awesome Raja.
www.awesomeraja.ml
classicalsujon@gmail.com